আজ- বুধবার | ১৯ মার্চ, ২০২৫
৫ চৈত্র, ১৪৩১ | সন্ধ্যা ৬:১০
১৯ মার্চ, ২০২৫
৫ চৈত্র, ১৪৩১
১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র, ১৪৩১

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির মামলায় তিন জন গ্রেপ্তার

দৃষ্টি নিউজ:

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর মামলায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

 

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত(২৯), শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ(৩০) এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার টানগেন্ডা গ্রামেরআবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ(২৮)।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-উত্তর) অফিসার ইনচার্জ একেএম শামসুদ্দোহা, ডিবি-দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আহসানুজ্জামান, এসআই নাফিউল ইসলাম ও এসআই সুদীপ বাছাড় একদল চৌকষ গোয়েন্দা সদস্য গুপ্তচরের সদস্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শুক্রবার রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে উল্লেখিত তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ছুরি, মোবাইল ফোন ও নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি জানান, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ নামক একটি বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মির্জাপুর থানায় এমটি মামলা(নং-১৭(০২)২৫) দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা পুলিশ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) আবেদন করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। অন্য দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি ও ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি বাস ডাকাতির মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আহসানুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে সবুজ ও শরীফুজ্জামান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামি শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের অধিকতর জিজ্ঞাসাবের(রিমান্ড) আবেদন করা হবে।

প্রকাশ, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) দিনগত মধ্যরাতে আমরি ট্রাভেস নামক বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রীরা জানায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাস নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এসময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী মামলা দায়ের করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

এ ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে থানার দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত হয়ে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়