আজ- শনিবার | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
১১ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৪:৩০
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
১১ মাঘ, ১৪৩১
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের নয়া তারিখ ১/১১

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বুধবার(১৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়নি। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহনের পরবর্তী তারিখ আগামি ১ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনছুর মিয়া এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনছুর মিয়া এজলাশে বসেন এবং প্রথমেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদি নাহার আহমদ, ছেলে আহমদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমদ মিথুনের হাজিরা দাখিল করেন। কিন্তু মূল আসামি উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক মামলার স্বাক্ষগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭ ধার্য করেন।
আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার এ মামলার বাদি নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, তাদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন, মেয়ে ফারজানা আহমদ মিথুনের সাক্ষ্য গ্রহন করার তারিখ ধার্য ছিল। এছাড়া, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল খালেক ও ফারুক হোসেন সনির নামও সাক্ষ্য গ্রহনের তালিকায় ছিল। যদিও তাদের মধ্যে আব্দুল খালেক ও ফারুক হোসেন সনি বিচারিক হাকিম আদালতে সাক্ষী হিসেবে আগেই জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার মূল আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে অসুস্থ্য জনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহযোগিতা করেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকি, জহিরুল ইসলাম জহির সহ আরো কয়েকজন। আদালত চলাকালে এমপি রানা সহ তাঁর ভাইদের ফাঁসির দাবিতে আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি আদালত চত্তর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও মামলার বাদি নাহার আহমদ সহ আ’লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছ্বাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সহ সহস্রাধিক লোক অংশ নেয়।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না করায় আটবার এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি,
ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম ওঠে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়