আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৪:২৭
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি

দৃষ্টি নিউজ:


দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যার মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির অংশ নেয়ার সব পথ বন্ধ হলো। গত ২৮ অক্টোবর (রোববার) এ প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। যদিও এটি ছাপানো হয় সোমবার(২৯ অক্টোবর)।
ইসির প্রজ্ঞাপনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪। কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এতোদিন পর সংগ্রহ করে জামায়াতের নিবন্ধন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করলো নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন। যদিও এতোদিন ওই রায়ের ভিত্তিতেই দলটিকে সব নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে ইসি।
২০১৭ সালের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর স্থানীয় নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাদ দেয়া হয় ২০১৫ সালে। সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থায় জামায়াতের অংশ নেয়ার সব পথ মোটামোটিভাবে বন্ধ হয়ে গেলো বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। তাদের মতে, হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে যদিও জামায়াত আপিল করেছে। কিন্তু আপিল কর্তৃপক্ষ আগের রায় স্থগিত করে আপিল গ্রহণ না করায় নিবন্ধন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। এখন আপিলে যদি জামায়াতের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বৈধ হয়, তবে জামায়াতকে নিয়ে আবারও ভাবতে হবে ইসিকে।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট রিট পিটিশন নং ৬৩০/২০০৯ এর ওপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদানকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর এবং জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়