দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে অপহরণের দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসেও ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া মজিদ ভূইয়া মহিলা মাদ্রার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহন না করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে ৬জন আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি। বুধবার(৩০ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবি করেছেন তার বাবা।
লিখিত বক্তব্যে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা জানান, জন্ম সনদ, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৬ অনুযায়ী তার মেয়ের জন্ম তারিখ ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর। সে ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া মজিদ ভূইয়া মহিলা মাদ্রাসায় আবাসিক হোস্টেলে থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। গত বছরের ঈদের ছুটি শেষে ৯ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ঝুনকাইল কাউছিআট্টা গোরস্থানের উত্তর পাশে পৌঁছলে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বদশা মিয়ার ছেলে বখাটে মো. মিলন মিয়া, মিনহাজ মিয়া, জবেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, তার স্ত্রী মোছা. মিনারা বেগম, পূর্বপাকুটিয়া(রামচন্দ্রপুর) গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনা জানতে পেরে ওই সময় ঘাটাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। বাধ্য হয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। টাঙ্গাইল জেলা সিআইডি’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মোহাম্মদ মশিউর রহমান তদন্ত করে গত ২০ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, সিআইডি অফিসার তদন্ত করলেন এবং রিপোর্ট জমা দিলেন কিন্তু তার মেয়েকে উদ্ধার করার কোন ব্যবস্থাই নিলেন না- এটা কী ধরণের তদন্ত? তিনি অতিদ্রুত তার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা সহ বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।