আজ- শুক্রবার | ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
২৯ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১১:১৮
১৪ নভেম্বর, ২০২৫
২৯ কার্তিক, ১৪৩২
১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২৯ কার্তিক, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে অপহরণের সোয়া দুই মাসেও কলেজ ছাত্রীর সন্ধান মেলেনি

দৃষ্টি নিউজ:

timthum6টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মহুয়া ইসরাত মরিন অপহৃত হওয়ার সোয়া দুই মাসেও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় একাধিকবার অভিযান চালিয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জানাগেছে, দেলদুয়ার উপজেলার খন্দকার মো. মারুফ হোসেন একমাত্র মেয়ে মহুয়া ইসরাত মরিনের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য স্ত্রী মোছা. শাফিয়াকে নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়ার বনফুল টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। মেয়ে মহুয়া ইসরাত মরিনকে শহরের সরকারি কুমুদিনী কলেজে ভর্তি করান। খন্দকার মো. মারুফ হোসেনের স্ত্রী মোছা. শাফিয়া ২০১৬ সালে ইন্তেকালের পর জীবিকার প্রয়োজনে চাকরি নিয়ে তিনি দুবাই চলে যান। মেয়ের লেখাপড়া ও দেখাশোনা করার জন্য ছোট ভাই খন্দকার নুরুন নবী ও মাকে বাসায় রেখে যান।
অপহৃতার চাচা নুরুন নবী জানান, কলেজে আসা- যাওয়ার পথে শহরের বিশ্বাস বেতকা ধোপাপাড়ার মৃত রমেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্জের বখাটে ছেলে রঞ্জিত ভট্টাচার্জ ওরফে রিপন(২৮) কলেজছাত্রী মহুয়া ইসরাত মরিনকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে রঞ্জিত ভট্টাচার্জ ওরফে রিপন ক্ষুব্ধ হয়। পরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কলেজ থেকে ফেরার পথে তাদের ভাড়া বাসার সামনে থেকে বখাটে রিপন ও তার সহযোগিরা মহুয়া ইসরাত মরিনকে অপহরণ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতের চাচা খন্দকার নুরুন নবী বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী ২০০৩)- এর ৭/৩০ ধারায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা(নং-২২/৫৩, তাং-১৮/০২/২০১৭ইং) দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি জানান, রঞ্জিত ভট্টাচার্জ ওরফে রিপন দুষ্ট চরিত্রের লোক। সে নিজেকে ‘রিপন খান’, ‘রিপন’, ও ‘ রিপন মিয়া’ হিসেবে ‘মুসলমান’ পরিচয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করতো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. শামসুল ইসলাম জানান, মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অপহৃত উদ্ধার ও অপহারণকারীকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্নভাবে ভিকটিমকে খোঁজা হচ্ছে, আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন ওই এসআই।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়