আজ- রবিবার | ১৬ মার্চ, ২০২৫
২ চৈত্র, ১৪৩১ | সকাল ৭:৪৩
১৬ মার্চ, ২০২৫
২ চৈত্র, ১৪৩১
১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের বেতন নেওয়ার অভিযোগ!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল শহরের দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভুতভাবে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেতন নেওয়ার প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন খান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ টিসি(ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিয়ে শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি অভিযোগ রয়েছে।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেতন ৩০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণির বেতন ৪০০ টাকা, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০০ টাকা। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ২৫ জন, সপ্তম শ্রেণির ১৬ জন, অষ্টম শ্রেণির ৩৯ জন ও নবম শ্রেণির ১৪ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন এক হাজার ২০০ টাকা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন এক হাজার ৮০০ টাকা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, উপবৃত্তি দেওয়ার সময় শিক্ষকরা ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অভিভাবকদের কাছ থেকে নিয়েছেন। শিক্ষকরা উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কারও কাছ থেকে ছয় মাসের আবার কারও কাছ থেকে ১২ মাসের বেতন নিচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অভিভাবকরা অবগত করলে তারা দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট(টিসি) দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।


শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, উপবৃত্তি দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। উপবৃত্তি পাওয়া কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।


টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামীম আল মামুন জুয়েল জানান, উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন নেওয়ার কোন রকম সুযোগ নেই। কোনো বিদ্যালয় ও কোনো শিক্ষক বেতন নিয়ে থাকলে বিষয়টি অনৈতিক হয়েছে।


টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুজিবুল আহসান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়