দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে খাদ্য কর্মকর্তা ও ডিলারদের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। ফলে কার্ডধারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার আরিফ হোসেন নামে এক ডিলার মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর) ২৬ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। সেই চাল সদর উপজেলার পাইকমুড়িল গ্রামের আলামিন নামীয় এক ব্যবসায়ী কিনে নেন। অভিযোগ রয়েছে- আলামিনের বাবা বিশ্বাস বেতকা ফুড অফিসে দারোয়ানের চাকুরি করেন। সেই প্রভাব খাটিয়ে আলামিন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ডিলারদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে তা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি করেন। তার এ চাল বিক্রি দীর্ঘদিন যাবত চলছে।
নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন উপকারভোগী গ্রাহক জানান, অনেক সময় সকাল থেকে তারা চালের জন্য লাইনে থাকেন। দুপুর ১২ টার মধ্যে চাল শেষ হয়েছে বলে ডিলাররা জানিয়ে দেন। তবে তারা সিন্ডিকেট করে চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। খাদ্য পরিদর্শকরাও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন না। ফলে সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে ডিলাররা অল্পদিনেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ¦তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন উপকারভোগী গ্রাহকরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলামিন জানান, তিনি চালগুলো গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনেছেন। কোন কালোবাজারির সাথে তিনি জড়িত নন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি হয় না। গরুর খামারে বা বাইরে বিক্রির সুযোগও নেই। তবে এ রকম কেউ করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলামিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পরও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।