আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:৫৭
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ঘুষের টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) দুপুরে ঘুষের ১৫ হাজার টাকা সহ গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গ্রেপ্তারকৃত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস রাজশাহী জেলার রাজপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে।

জানাগেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কয়ড়া গ্রামের স্বর্গীয় মনিন্দ্র পালের ছেলে গোবিন্দ কিশোর পাল তার মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধনের জন্য টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ে যান। ওই কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসের সাথে তার আলাপ হয়। এ সময় নিবন্ধন করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

মায়ের অসুস্থতার জন্য গোবিন্দ কিশোর পাল ১৫ হাজার টাকায় মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধন করে দেয়ার অনুরোধ করেন। এতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস রাজি হয়ে গোবিন্দ কিশোর পালের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। টাকা পেয়েও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধন করে দিতে গড়িমসি করেন। এক পর্যায়ে গোবিন্দ কিশোর পাল দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জানান।

খবর পেয়েই দুদক টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল কাস্টম, এক্সাইজ ও ভাট কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় ঘুষ হিসেবে নেয়া টাকার নম্বর বলার পর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস তার কাছে থাকা টাকা বের করে দেন। ওই টাকায় গোবিন্দ কিশোর পালের দেয়া নম্বর মিলিয়ে ১৫টি এক হাজার টাকার নোটে ১৫ হাজার টাকা জব্দ এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের স্বত্ত্বাধিকারী গোবিন্দ কিশোর পাল জানান, নিবন্ধনের জন্য সাহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ১৫ হাজার টাকা দেয়ার পরেও তিনি নিবন্ধন করে দিতে গড়িমসি করেন। সন্দেহ হওয়ায় টাকা দেয়ার আগে তিনি প্রতিটি এক হাজার টাকার নোটের নম্বর লিখে রেখেছিলেন।

দুদক টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের কাছে অভিযোগ ছিল নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ১৩ ডিজিটের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ঘুষ দাবি করছে ভ্যাট কর্মকর্তা। এ খবরের ভিত্তিতে তারা টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ঘুষের ১৫ হাজার টাকা সহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে তারা গ্রেপ্তার করেন।

https://youtu.be/e4_Hw9wlAKc

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে দুদকের আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়