আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:২৪
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে জমি কিনতে না পেরে প্রতিপক্ষকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ী গ্রামে জমি কিনতে না পাড়ার ক্ষোভে প্রতিপক্ষের শুকুর মামুদ নামে এক বৃদ্ধকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহত শুকুর মামুদকে(৬৫) গুরুত্বর আহতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানাগেছে, কুইজবাড়ী গ্রামের আ. রশিদ ও মোন্তাজ পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ৯ শতাংশ আবাদি জমি প্রতিবেশি শুকুর মামুদের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। ওই জমিটি তাদের চাচাত ভাই মো. হাসমত আলী কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন।

ওই ক্ষোভের জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর জমি দেখতে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মো. হাসমত আলী তার ছেলে সম্রাটকে নিয়ে দ্রুতগামী মোটরসাইকেল দিয়ে বৃদ্ধ শুকুর মামুদকে ধাক্কা দেয়। এতে শুকুর মামুদ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শুকুর মামুদের ছেলে মো. আলাল মিয়া বাদি হয়ে মো. হাসমত আলী ও তার ছেলে সম্রাটকে অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সরেজমিনে স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য ফরহাদ আলী, শিক্ষক মিজানুর রহমান সহ অনেকেই জানান, মো. হাসমত আলী এলাকায় একজন ‘সুদখোর’ হিসেবে পরিচিত।

চাচাত ভাইয়ের জমি কিনতে না পাড়ার ক্ষোভে মো. হাসমত আলী বয়োবৃদ্ধ শুকুর মামুদকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত করে। পরে তারা বিষয়টি দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

মামলার বাদি মো. আলাল মিয়া জানান, হাসমত বা তার ছেলে সম্রাটের মোটরসাইকেল চালানোর কোন লাইসেন্স নাই। পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাসমত তার ছেলে স¤্রাটকে নিয়ে মোটরসাইকেল চাপায় তার বাবা শুকুর মামুদকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তিনি এ ঘটনায় জড়িত বাপ-বেটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত মো. হাসমত আলী জানান, বয়োবৃদ্ধ শুকুর মামুদ কানে কম শোনেন ও চোখে কম দেখেন- এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জমি কেনায় ক্ষোভ আছে তবে তাকে হত্যা করার কোন উদ্দেশ্য তার নেই। এটা নিছক দুর্ঘটনা।

মগড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজাহার আলী মিয়া জানান, মো. হাসমত আলী সুদের কারবারী এটা ঠিক। চাচাত ভাইয়ের জমি কিনতে না পাড়ায় ক্ষুব্ধ এটাও ঠিক। তবে কি কারণে ও কিভাবে ওই ঘটনা ঘটেছে তা তিনি জানেন না।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলা তদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়