দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল শহরে টিসিবি’র ট্রাকের মাধ্যমে খোলাবাজারে ভ্রাম্যমান বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে পণ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে পরিমাণ পণ্য ডিলারদের দেয়া হচ্ছে তা ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পণ্যের মান ভালো ও বাজারের চেয়ে মূল্য কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। তবে স্থায়ী ডিলারদের জন্য এবার শুধুমাত্র একবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরে চার জন ডিলার ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিতরণের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। দুইদিনে বিতরণের জন্য একজন ডিলার সয়াবিন ৬০০ কেজি, ছোলা ৮০০ কেজি, ডাল ৬০০ কেজি, মশুর ডাল ৬০০ কেজি ও চিনি ৬০০ কেজি বরাদ্দ পাচ্ছেন। শহরের নিরালার মোড়, জেলা সদর ও আশেকপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি সয়াবিন ৮৫ টাকা হিসেবে ৫ লিটারের পুষ্টি ৪২৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মুশুরের ডাল (মোটা) ৮০ টাকা ও দেশি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব পণ্য কিনছে।
এছাড়া ৩৭জন স্থায়ী ডিলার এবার মাত্র একবার বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রতিজন ২০০ কেজি সয়াবিন, ৪০০ কেজি চিনি, ৫০০ কেজি ছোলা ও ৩০০ কেজি মশুর পেয়েছেন।
টিসিবি’র ভ্রাম্যমান ও স্থায়ী ডিলার শহরের বেবীস্ট্যান্ডের মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রোকন উদ্দিন জানান, ভ্রাম্যমান হিসেবে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দেয়া যাচ্ছে না। বরাদ্দ বাড়ানো হলে আরও বেশি মানুষ সরকারের এই সুবিধার আওতায় আসত। যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।