
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোড শাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের শাখাটি দীর্ঘ চার বছরে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকার লোকসান কাটিয়ে চলতি অর্থ বছরে ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা লাভ করেছে। ক্ষতির কারণ নির্ণয়, শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিশ্বস্ত গ্রাহক সেবাই সোনালী ব্যাংকের এ শাখাটিকে লাভের মুখ দেখিয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে বড়কালিবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন ইসলাম মার্কেটের ভাড়াকৃত ভবনের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ভিক্টোরিয়া রোড শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকের এই শাখাটি স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হলেও বিগত ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছর ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুনছিল। এরমধ্যে ২০১৫ সালে ২০ লাখ, ২০১৬ সালে ২০ লাখ ৩১ হাজার, ২০১৭সালে ৯২ লাখ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে এক কোটি এক লাখ সহ মোট দুই কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা লোকসান করে।
২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট সোনালী ব্যাংক ভিক্টোরিয়া রোড শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন খন্দকার রাইসুল আমিন। লোকসান কাটাতে তিনি স্বউদ্যোগে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেন। প্রথমেই তিনি ক্ষতির কারণ নির্ণয়, শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উত্তম ও বিশ্বস্ত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করেন। ফলে মাত্র ৯ মাসেই লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখে ব্যাংকটি।

সোনালী ব্যাংক ভিক্টোরিয়া রোড শাখার ব্যবস্থাপক খন্দকার রাইসুল আমিন জানান, শাখা পরিচালনায় নানামুখী কৌশল ও সর্বোত্তম গ্রাহক সেবার কারণেই এ সাফর্য এসেছে। দীর্ঘ চার বছরে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকার লোকসান কাটিয়ে চলতি অর্থ বছরে শাখাটি ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা লাভ করেছে। তিনি জানান, গত ৬ মাসে ৪১ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় হয়েছে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে তিন কোটি টাকা। এছাড়া শাখাটিতে স্থায়ী লাভের ক্ষেত্র হিসেবে যোগ হয়েছে সরকারি চালান ফরম জমা নেয়ার কার্যক্রম। যা থেকে বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকার অতিরিক্ত মুনাফা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে শাখাটি।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইল বাজার শাখাকেও লোকসানের হাত থেকে বের করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।
