আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:২৮
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে দম্পতি হত্যা রহস্য পাঁচ মাসেও উদঘাটিত হয়নি

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রাণী দাসের নৃশংস হত্যাকান্ডের ৫ মাস কেটে গেছে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। মামলার বাদী নিহত অনিল কুমার দাসের ছেলে নির্মল কুমার দাস ও তাদের প্রবাসী মেয়ে অঞ্জনা দাস বিচার না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) মামলাটি তদন্ত করছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই ঘটনায় অনিল কুমার দাসের দুই ভাই রতন ও স্বপনকে গত ২৮ জুলাই রাতে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ২ ও ৩ আগস্ট দুইদিন শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা তাদের রিমান্ডে নিয়ে ৮ ও ৯ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে। রিমান্ডে ডিবি পুলিশ তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি। ফলে গত ২৮ ডিসেম্বর স্বপন কুমার দাস জামিন পেয়েছেন।
এদিকে, এই হত্যাকান্ডের পর এলাকার দুই যুবক শহীদ মোমেন ও ভজন শীলকে ২৯ জুলাই রাতে রসুলপুর বাজারে তাদের নিজ নিজ দোকান থেকে এবং ৩০ জুলাই দুপুরে অপর এক যুবক মফিজউদ্দিনকে তাদের বাড়ির কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। পরে ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদের স্বজনদের খবর দিয়ে টাঙ্গাইল র‌্যাব অফিসে এনে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছ থেকে র‌্যাব এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি। ওই তিন যুবক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকার তিন যুবক দুলু মিয়া, মিনজু ও খোকন ভূঁইয়াকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে মিনজু ও খোকন ভূঁইয়াকে ছেড়ে দেয়া হলেও দুলু মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে দুলু মিয়াও জামিন পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, এ হত্যাকান্ডের এখনো কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনার পর আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করলেও তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। তবে স্থানীয় লোকজন আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। আশা করছি দ্রুতই এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারব।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রাতের কোনো এক সময় অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রাণী দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাদের গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের খোলা কূপে ফেলে যায়। পরদিন দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়