আজ- শনিবার | ২২ মার্চ, ২০২৫
৮ চৈত্র, ১৪৩১ | সকাল ৯:৫৩
২২ মার্চ, ২০২৫
৮ চৈত্র, ১৪৩১
২২ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে সরকারি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকায় ৮ ট্রাক মাটি ক্রয়!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ভাল্লুকান্দি হর্টিকালচার সেন্টারে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া মাটি ভরাটের ২০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র এক লাখ টাকায় ৮ ট্রাক মাটি ভরাট করে বাকি টাকা নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন মহলে খোসগল্পে রূপ নিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভাল্লুকান্দি হর্টিকালচার সেন্টারে মাটি ভরাটের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাত করেন নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান। এ নিয়ে সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে বাধ্য হয়ে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলামের মাধ্যমে এক লাখ টাকায় ৮ ট্রাক মাটি ফেলা হয়। বাকি ১৯ লাখ টাকাই তিনি পকেটস্থ করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সরেজমিনে হর্টিকালচার সেন্টারের কয়েকজন কর্মচারী জানান, যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার সম্পূর্ণই পকেটস্থ করেছেন আব্দুল মান্নান। মাত্র এক লাখ টাকায় ৮ ট্রাক মাটি ফেলেছেন। এরমধ্যে চার ট্রাক মাটি সীমানা প্রাচীর ঘেসে, দুই ট্রাক মাটি দিয়ে একটি গর্ত ভরাট করেছেন এবং দুই ট্রাক মাটি নার্সারীর ভেতরে ফেলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে সেন্টারের এক কর্মকর্তা জানান, স্যার (মো. আব্দুল মান্নান) বরাদ্দের ২০ লাখ টাকাই আত্মসাত করেছিলেন। কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমালোচনায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার মাধ্যমে মাত্র এক লাখ টাকায় চার ট্রাক মাটি ফেলেছেন। বাকি ১৯ লাখ টাকাই তিনি আত্মসাত করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মাটি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনির জানান, নার্সারীতে অনেক আগে ৮-১০ ট্রাক মাটি ফেলা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে ভাল্লুককান্দি হর্টিকালচার নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক (সংযুক্ত) মো. আব্দুল মান্নান জানান, তিনি কোন টাকা আত্মসাত করেননি। পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া ২০ লাখ টাকায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাটি ফেলা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি আগে অবহিত ছিলেন না। এ ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়