দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আগামি ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে সমিতির দুইজন মালিক রিটপিটিশন দায়ের করায় শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাহমিদা আখতার স্বাক্ষরিত বুধবার(২২ জানুয়ারি) এক আদেশে গণতন্ত্রের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলে নির্বাচন না করার আহ্বান জানানো হয়।
জানা যায়, আগামি ২৫ জানুয়ারি(শনিবার) টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলার পাবলিকক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ ও বাবু শ্যামলকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তারা কেউই সিমিতির সদস্য বা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর দুইজনকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করার বিধান রয়েছে।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি একত্রিকরণ করে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি নামকরণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি শ্রম অধিদপ্তরকে জানানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। নির্বাচনের তফসিলে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করা হয়নি।
রিটপিটিশনে বলা হয়- গঠনতন্ত্রের বিধান না মেনে নবগঠিত ওই কমিশন আগামি ২৫ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে গত ২ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। এসব অভিযোগ এনে গত ১৫ জানুয়ারি মালিক সমিতির দুই সদস্য শফিকুল ইসলাম শামীম ও জাহিদুল ইসলাম সবুজ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিটপিটিশন দায়ের করেন।
ওই রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাহমিদা আখতার নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এক আদেশে শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের কার্যক্রম গ্রহণ না করায় আগামি ২৫ জানুয়ারি সমিতির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন থেকে বিরত থেকে শ্রম অধিদপ্তরের আইন-কানুন মেনে সমিতির সকল সদস্যর স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান জানানো হয়।
সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক জানান, নির্বাচনের তফসিলে ত্রুটি থাকার কারণে সমিতির সাধারণ দুইজন সদস্য হাইকোর্টে রিটিপিটিশন দাখিল করেন। আদালত নির্বাচন স্থগিত করে। সুষ্ঠু, সুন্দর এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতি পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন জানান, নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে রিট পিটিশন দাখিল করা কাম্য ছিল না। গঠনতন্ত্রে কিছু ত্রুটি বিচ্যূতি থাকতেই পারে। সরকার পরিবর্তন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরাও পরিবর্তন চাই। সবাইকে সাথে নিয়ে এক সাথে পথ চলতে চাই। শেষ মুহুর্তে এসে নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় মালিকদের মনোবল ভেঙে যওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।