দৃষ্টি নিউজ:
দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ও নানা আলোচনা-সমালোচনার পর টাঙ্গাইলের আলোচিত বেড়াডোমা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার(২৯ ডিসেম্বর) বিকালে সেতুটির উদ্বোধন করেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
সেতুটির উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, পৌরসভার স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চার বছর আগে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু পৌরসভার নির্দেশনা না মেনে সাব-ঠিকাদার নির্মাণ কাজ করায় ছয় মাসের মাথায় নির্মাণাধীন সেতুটি দেবে যায়। এ ঘটনায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নির্মাণাধীন সেতুটি দেবে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪১ দশমিক ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্য নির্মিতি (জেভি) নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর।
টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় এমপির বাহামভুক্ত কয়েকজন নামধারী ঠিকাদার। মূলস্ল্যাব ঢালাই কাজের আগে নদীর মধ্যে বালির বাঁধ নির্মাণ করে তার উপর গজারি বল্লি স্থাপন করে সাটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পৌর কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তা মানা হয়নি। পরে পানির ¯্রােতে সেতুটি দেবে যায়। পরে ঠিকাদার নিজ অর্থায়নে সেতুর কাজ সম্পন্ন করে।