আজ- রবিবার | ৯ নভেম্বর, ২০২৫
২৪ কার্তিক, ১৪৩২ | দুপুর ১২:৫১
৯ নভেম্বর, ২০২৫
২৪ কার্তিক, ১৪৩২
৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

টাঙ্গাইল শহরে ঢুকছে পানি ॥ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বুলবুল মল্লিক:

সদর উপজেলার মগড়া থেকে তোলা ছবি

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। রোববার রাতে বৃষ্টির কারণে বন্যার পানি টাঙ্গাইল শহরে ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরম আকার ধারণ করেছে।

বৃষ্টির সাথে বন্যার পানি একাকার হয়ে টাঙ্গাইল শহরের বাসটার্মিনাল থেকে কেডি মসজিদ হয়ে মেডিকেল কলেজের পিছনের রাস্তা, মক্কা আই সেন্টার থেকে কোদালিয়া হয়ে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত রাস্তা, দেওলা প্রধান সড়কের পাশের প্রতিটি অভ্যন্তরীণ সড়ক, খাদ্য গুদাম

টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা এলাকা থেকে তোলা ছবি

থেকে মীরের বেতকা, বৈল্যা ব্রিজের পর থেকে এনায়েতপুর সড়ক এবং পৌরসভার চরজানা ও মীরের বেতকা এলাকা পুরোটাই পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ব্যতিত অভ্যন্তরীণ প্রায় সড়কেই বন্যার পানি হানা দিয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনে যমুনায় পানি কমে বিপৎসীমার ৮৩ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদী সহ জেলার অভ্যন্তরীন নদ-নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে।

ফলে জেলার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, ছোট ছোট ব্রিজ-কার্লভাট ও ব্রিজে ওঠার মাটি ধসে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়ে জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, মাছের পুকুর ও পোল্ট্রী খামারে পানি ঢুকে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে পানি উঠে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বাহিত রোগ-ব্যাধি সহ খাবার পানি ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র ও উচু রাস্তার পাশে অবস্থান নেওয়া বন্যার্তরা শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের চরম সঙ্কটে ভুগছেন।

টাঙ্গাইলে দ্বিতীয় দফার বন্যায় জেলার স্থায়ী নদী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কাজসহ একের পর এক ব্রিজ ধসে পড়ছে। এতে জনপদ বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।

জেলার অভ্যন্তরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর এ ছয়টি উপজেলার ৯০ শতাংশ এবং অপর ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল, বাসাইল, সখীপুর ও মির্জাপুর এ ছয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

এরইমধ্যে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বানভাসী এসব মানুষ সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে।

https://www.youtube.com/watch?v=IPrvKKBotgY

টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বানভাসী মানুষের জন্য ৪০০মে.টন জিআর চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার(২০ জুলাই) যমুনায় বিপৎসীমার ৮৩ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

রোববারের বৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ নদীর পানি বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি ২-১দিনের মধ্যে কমতে শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়