দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার আবদুল জলিলের ভাড়াটিয়া বাসার টয়লেট থেকে শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওই নবজাতকের মা স্বামী পরিত্যক্ত আর্জিনা বেগমকে(৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে সখীপুর পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকার আজাহার উদ্দিনের মেয়ে আর্জিনা আক্তারের সাথে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতিমা গ্রামের আলমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আসিফ নামে পাঁচ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। গত তিন বছর আগে আর্জিনা দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেনের ছেলে আজগর আলীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনা জানাজানি হলে গত দুই বছর আগে স্বামীর সাথে আর্জিনা আক্তারের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে সন্তান আসিফকে নিয়ে পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের সৌখিন মোড় এলাকায় আবদুল জলিলের বাসা ভাড়া নিয়ে আর্জিনা বসবাস শুরু করেন। তবে বিয়ে বিচ্ছেদের পর আর্জিনা ও আজগর আলীর সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে ওঠে। আর্জিনার বাসায় আজগরের নিয়মিত যাতায়াতও ছিল। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দফা সালিশী বৈঠকও হয়।
এ বিষয়ে আর্জিনার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, আজগর আলী পূর্ব সম্পর্কের কারণে আর্জিনার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তাদের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে আর্জিনা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ৭ সেপ্টেম্বর আর্জিনা বিয়ের দাবিতে আজগর আলীর বাড়িতে অবস্থান নিলে পরিবারের লোকজন আর্জিনার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে আর্জিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে ৮ সেপ্টেম্বর তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে আর্জিনা বাসায় ফিরে আসে। গত শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আর্জিনা টয়লেটে গেলে তার গর্ভের সন্তান পড়ে যায়। আজগর আলীর নির্যাতনের কারণে এ গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আজিজুল ইসলাম জানান, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
