সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে ৬৫ বছরের বদ্ধাকে ডেকে নিয়ে যৌন নিগ্রহের(ধর্ষণ) অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় দুই যুবক শমসের ও মহসিনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় পর্যায়ে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। সমামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন যাবত ওই ঘটনাটি ‘টক্ অব দ্যা টাউন’- এ পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলহোড় গ্রামের দিনমজুর শমসের ও মো. সমেসের ছেলে মহসিন এলাকায় ঘটক হিসেবেও পরিচিত। গত ৯ মার্চ রাতে কাজ দেওয়ার কথা বলে একই এলাকার ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে ডেকে নেয়। রাত বেশি হওয়ায় বৃদ্ধার ছেলে জুয়েল মোবাইল ফোনে জানতে পারেন- তার মা শমসের ও মহসিনের সঙ্গে সদর উপজেলার করটিয়ায় রয়েছেন। সেখানে কোন এক জায়গায় কাজের সন্ধানে গিয়েছেন। দ্রুতই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু পরদিন ১০ মার্চ সকালে মঙ্গলহোড় গ্রামের গাড়াইল নামক স্থানে ওই বৃদ্ধাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় যুবকরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং শমসের ও মহসিনকে আটক করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে হাজির করে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিষ্কার ধারণা না পেয়ে শমসের ও মহসিনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বৃদ্ধার ছেলে জুয়েল জানায়, তার মা ৯ মার্চ সন্ধ্যায় কাজের সন্ধানে করটিয়া যান। রাত বেশি হলেও না আসায় তিনি মোবাইল ফোন করে জানতে পারেন, করটিয়ায় একটি ফ্যাক্টরীতে কাজ হওয়ার কথা রয়েছে। যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে আর ফিরবেন না- অন্যথায় দ্রুতই ফিরে আসবেন। পরদিন গাড়াইলে তার মাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ খান (চান খা) জানান, ওই বৃদ্ধা মহিলাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় শ্রমিক শমসের ও মহসিন ডেকে আনেন। বৃদ্ধা মহিলার সন্তান এবং নাতি-নাতনি রয়েছে। কি কারণে ওই মহিলা বিয়ে করতে চেয়েছেন- তা জানতে পারেন নি।
তিনি জানান, এ ঘটনায় বৃদ্ধাকে অচেতন অবস্থায় পওয়া গেলেও যৌন নিগ্রহের(ধর্ষণের) অভিযোগ ওঠলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যৌন নিগ্রহের কোনো বিষয় ওঠে আসেনি। পরে অভিযুক্ত দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সোহেব খাঁন জানান, এটা যৌন নিগ্রহের(ধর্ষণের) কোনো ঘটনা নয়। তবে বৃদ্ধা মহিলার নিখোঁজ হওয়া ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবক শমসের ও মহসিনকে জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পরে ওই দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।