
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কামরুন্নাহার ইতির মরদেহ দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্তের জন্য বুধবার(৩ এপ্রিল) পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলনের সময় ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা সিদ্দীকা উপস্থিত ছিলেন।
মধুপুর থানা পুলিশ জানায়, কামরুন্নাহার ইতির বাবা আবদুল কদ্দুসের বাড়ি ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের বাগুয়া গ্রামে। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভট্টবাড়ী গ্রামের আবদুল জলিলের সাথে গত বছরের মে মাসে ইতি’র বিয়ে হয়। বিয়ের ছ’মাস পর গত ৩০ নভেম্বর রাতে স্বামী বাড়ি থেকে গলায় রশি দেয়াবস্থায় ইতি’র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামী পক্ষ এটিকে আত্মহত্যা দাবি করলেও ইতি’র বাবা আবদুল কুদ্দুস পরিকল্পিত খুন দাবি করে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী জলিল, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও দেবরকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। তবে তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত মিলেনি। এমতাবস্থায় মামলার বাদী এবং মৃত ইতি’র বাবা আবদুল কদ্দুস পুনঃময়না তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করেন। পরে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য ইতি’র মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইতির বাবা-মা জানায়, ইতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রথম দফায় সম্পন্ন হওয়া ময়নাতদন্তে হত্যাকে পাশ কাটিয়ে আত্মহত্যা বলা হয়েছে।
তারা এর সঠিক বিচার দাবি করেন। এজন্যই আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানান।
