
নাগরপুর সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর বামতীরে সদ্য নির্মিত বারপাখিয়া-ঘোনাপাড়া বাঁধের ঘোনাপাড়া পয়েণ্টে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার(৪ জুলাই) ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ করে ঘোনাপাড়া পয়েণ্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২০-২৫ ফুট এলাকা ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নাগরপুরের ঘোনাপাড়াসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য বারপাখিয়া থেকে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত বামতীরে ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনমাস আগে বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হয়।
মাত্র তিনমাস আগে নির্মিত বাঁধটি বর্ষার শুরুতেই ভেঙে গেল। ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার সকালে নির্মিত বেরিবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার পানিতে ঢুকে পড়েছে।
এতে চরাঞ্চলের তিল, পাট সহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। নাগরপুরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা পানিবন্দি হয়ে পড়ায় গবাদী পশু ও ফসল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেণ্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেণ্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে বেরিবাঁধের নিচের অংশের ব্লকগুলো সরে গিয়ে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া মাটির তৈরি আরো একটি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো আপদকালীন সময়ে বেরিবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে পাথরের ব্লক ফেলে মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
