আজ- মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১০:২৯
১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২
১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

নাগরপুরে শিব কাঠুরীতে শিবপূজা উদযাপিত

নাগরপুর সংবাদদাতা:

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা (শিব রাত্রি) উদযাপন করা হয়েছে। ফাল্গুন মাসের শিব চতুদর্শীতে নাগরপুর কাঠুরীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরে ওই পূজা উদযাপন করা হয়। শিব রাত্রি উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে পূন্যার্থীদের ঢল নামে। নাগরপুর পূজা উদযাপন পরিষদ এ পূজা উদযাপনের আয়োজন করে।

জানা যায়, শিবপূজা হিন্দুদের মধ্যে প্রাচীনকাল থেকে ব্যাপক প্রচলিত। এই রীতি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়ে গেছে। শিবপূজা কেবল ভারত আর শ্রীলংকায় সীমা বদ্ধ নয়। শিব মন্দিরের গর্ভগৃহে শিবের অবস্থান। শিবের থাকে তিনটি অংশ। সব চেয়ে নিচের চারমুখী অংশটি থাকে মাটির নিচে। তার উপরের অংশিটি আট মুখী, যা বেদীমুল হিসেবে কাজ করে। আর একেবারে উপরে অর্ধবৃত্তাকার অংশটি পূজিত হয়। এই অংশটির উচ্চতা হয় পরিধির এক তৃতীয়াংশ। এই তিনটি অংশের সব চেয়ে নিচের অংশটি ব্রহ্মা, তাঁর উপরের অংশটি বিষ্ণু ও একেবারে উপরের অংশটি শিবকে প্রতীকায়ীত করে। বেদীমূলে একটি লম্বাকৃতি অংশ রাখা হয়, যা শিবের মাথায় ঢালা জল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।

শিব রাত্রি সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, স্বামীজী ‘অথর্ববেদ’ এর স্লোক উদ্বৃত করে শিবকে আদি ব্রহ্মের স্বরুপ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, আদি ও অন্তহীন ব্রহ্মের প্রতীক হল শিব লিঙ্গ।

মলয় কুমার সরকার বলেন, প্রায় ৮৬ বছর আগে তৎকালীন জমিদারদের আয়োজনে নাগরপুরে এই পূজা উদযাপন করা হত। তারই ধারাবাহিকতায় এখনো এই পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। তবে প্রাচীনতম শিব মন্দির হিসেবে পরিচিত এই মন্দিরটি বর্তমানে জরাজীর্ণ। পুজারীরা মন্দিরটি সংস্কারের দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দয়াল ঘোষ, রনজিৎ ঘোষ, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান তুষ্ট, গনেশ ঘোষ, হরিপদ ঘোষ সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পূজারিরা।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়