দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের করটিয়া কাজীবাড়ী গ্রামের দুই সন্তানের জননী পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধর্ষিতার পরিবার। রোববার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতার মামা মো. সোহেল রানা জানান, ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি নাগরপুরের মোকনা ইউনিয়নের করটিয়া কাজীবাড়ী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে লম্পট শ^শুর মো. সাইজুদ্দিনের পুত্র রুবেলের সাথে রেজিস্ট্রি-কাবিনমূলে ও শরীয়ত মতে ধর্ষিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে রাবেয়া(৫) নামে এক কন্যা এবং মেরাজ(আড়াই) নামে এক পুত্র জন্মগ্রহন করে। স্বামী রুবেল মিয়া গত এক বছর আগে বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকে পুত্রবধূর উপর কু-নজর দেয় শ্বশুর মো. সাইজুদ্দিন। দিনের পর দিন পুত্রবধূর সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার অভিনয় শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে কু-প্রস্তাব দেন। পুত্রবধূ কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গোপনে বিষয়টি তার শ্বাশুরিকে জানান।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল রাতে নিজ বাড়িতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লম্পট শ^শুর পুত্রবধূর ঘরে প্রবেশ করেন। পরে পুত্রবধূ ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের বিচার চেয়ে ওই পুত্রবধূ উপজেলার ১২ নং মোকনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ ঘটনার বিচার করতে পারবেন না জানিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ধর্ষিতা বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা(নং-৩৫৫/২০১৯ইং) দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই তদন্তা করছে।মামলা দায়ের করার ক্ষোভে লম্পট শ্বশুর গৃহবধূর দুই সন্তানকে হত্যা সহ ধর্ষিতাকে ভিন্ন ঘটনায় ফাঁসানোর শঙ্কায় রয়েছে পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে ১২নং মোকনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহেল রানা, ধর্ষিতার মা নাসিমা ও নানা বাবর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
