আজ- রবিবার | ৯ নভেম্বর, ২০২৫
২৪ কার্তিক, ১৪৩২ | দুপুর ১২:৪৯
৯ নভেম্বর, ২০২৫
২৪ কার্তিক, ১৪৩২
৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২

নাগরপুরে সেতু নির্মাণে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শুরু হয়নি

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের নাগরপুর-সলিমাবাদ সড়কে উপজেলা সদরের চৌরাস্তায় ১৫মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও কাজই শুরু করা হয়নি। বরং পুরনো সেতুটি ভেঙে বিক্রি করায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জানা যায়, নাগরপুর-সলিমাবাদ সড়কে ৫৪মিটার চেইনেজ-এ এক কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা ৯৬ পয়সা ব্যয়ে ১৫ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য

টাঙ্গাইল শহরের আমঘাট রোডস্থ মেসার্স আলিফ এণ্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যাদেশ পায়।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত সেতু নির্মাণে কোন কাজ শুরুই করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানায়, নাগরপুর উপজেলার চৌরাস্তায় নাগরপুর-সলিমাবাদ সড়কে সেতু নির্মাণের কাজ উদ্বোধনের ১০ মাস অতিবাহত হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেনি।

উপরন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরাতন সেতুটি ভেঙে নিলেও মানসম্মত ডাইভারশন নির্মাণ না করায় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

মানসম্মত ডাইভারশনের অভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেকড়া, সলিমাবাদ ও পাশের চৌহালী উপজেলার মানুষ চলাচল করছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী

সেতুর নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে একটি ৪০মিটার দীর্ঘ ইট-সোলিং এর ডাইভারশন নির্মাণের কথা থাকলেও বাঁশের সাঁকো ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান নয়।

পরিবহণ শ্রমিক, পথচারী ও স্থানীয় আবু বকর, জুয়েল মিয়া, রমজান আলী সহ অনেকেই জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কাজ পেয়ে কোন ডাইভারশন নির্মাণ না করেই ওই স্থানের পুরাতন সেতুটি ভেঙে বিক্রি করে দেয়।

পরে এলাকাবাসীর চাপের মুখে তারা কিছু মাটি ফেলে পায়ে হাটার রাস্তা তৈরি করে। মাটির সে রাস্তা বন্যায় ভেঙে গেছে। ডাইভারশন না থাকায় পরিবহণ শ্রমিকরা যানবাহন নিয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারছেনা।

ফলে তাদের আয় কমে গেছে- যাত্রীদের খরচ বেড়েছে। মালামাল পরিবহন ও রোগী নিয়ে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ এণ্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান খান মিন্টু জানান, সেতুর পাশের বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করতেই তাদের তিন মাস সময় লেগেছে।

এছাড়া করোনা মহামারী ও বন্যার কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। ডাইভারশন নির্মাণের জন্য মাটি ফেলা হলে বন্যায় সে মাটি ধসে গেছে। বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করা হবে।

নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মাহাবুব আলম জানান, তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে বন্যার কারণে পাইলিং করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া বন্যার আগে নির্ধারিত পাথর না পাওয়া এবং যথাসময়ে পাইলিং করতে না পারায় কাজটি পিছিয়ে গেছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়