দৃষ্টি নিউজ:

বিনাদোষে ২৭দিন কারাবাসের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সখীপুরের সেই নয়ন। বুধবার(২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখিপুর থানা আমলি আদালতের বিচারক আকরামুল ইসলাম তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম আল দীন জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর সখীপুর উপজেলার পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী বাসাইলের চাপড়াবিল এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এর চারদিন পর টাঙ্গাইল ডিসি লেকের পাশ থেকে পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরিবারেরে চাপে মেয়েটি ‘নয়ন’ নামে এক ছেলের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল বলে জানান। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটির মা বাদী হয়ে প্রতিবেশি শাহজাহান আলীর ছেলে বাবুল হোসেন নয়নকে অভিযুক্ত করে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
পুলিশ নয়নকে গ্রেপ্তার করে মেয়েটির মুখোমুখি করলে গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল হোসেন নয়নকেই ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে। এ সময় নয়ন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ওই ছাত্রীকে চিনেনা এবং কক্সবাজারে যায়নি বলে জোর দাবি করতে থাকে। মেয়েটির অনড় অবস্থানের কারণে নয়নকে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠালে আদালত পুলিশকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
জেলগেটে জিজ্ঞাবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামানকে নয়ন বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করায় ও মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় অধিকতর গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করেন। এ তদন্তে মেয়েটির কাছ থেকে পাওয়া কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ডের সূত্র ধরে এবং ওই হোটেলে দেয়া মোবাইল নম্বর ও সিসি টিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করায় মামলার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৭ অক্টোবর ঘটনার মূলহোতা নয়ন মিয়াকে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার ধর্ষক নয়ন মিয়া বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের বাঘিল গ্রামের ফারুক ওরফে নূহু মিয়ার ছেলে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া নয়ন মিয়া ওই ছাত্রীকে কক্সবাজারের একটি হোটেলে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
