আজ- শনিবার | ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১২:০৮
১৫ নভেম্বর, ২০২৫
৩০ কার্তিক, ১৪৩২
১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

পরকিয়ার জেরে স্বামী জাহাঙ্গীরকে খুন করেছে স্ত্রী :: পরিবারের দাবি

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হলেও পরকিয়ার জেরে তাকে স্ত্রী লাভলী বেগম ও পরকিয়া প্রেমিক আমিনুর(বাবু) খুন করেছে। জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রোববার(১৬ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওই দাবি করা হয়।

প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই আবু সাইদ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী লাভলী বেগমের পরকীয়ার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। ওই প্রচারণার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৮:৪৪টায় জাহাঙ্গীর আলম তার মায়ের সাথে ৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড কথা বলেন। ফোনালাপের ভাষ্যে জাহাঙ্গীরের পরিবার অভিযোগ করেছে, সেদিন জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে সেটা অনুমান করেই জাহাঙ্গীর ফোন করেছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

এরআগে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আমিনুর(বাবু)’র পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। ওই পরকিয়ার সম্পর্ক চ্ছেদ করার জন্য এলাকাবাসী ৪-৫ বার সালিশী বৈঠক করেও সমাধান করতে পারেনি। সবশেষ বৈঠকে আমিনুর ওরফে বাবুকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। লাভলীকে ছেড়ে দূরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরপরও আমিনুর এলাকায় অবস্থান করে পরকিয়ার সম্পর্ক অটুট রাখে। এ ঘটনার পর জাহাঙ্গীরকে প্রায়ই আমিনুর মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। কয়েক মাস আগে আমিনুরের সাথে লাভলী বেগম পালিয়ে বগুড়া গিয়ে দেড়মাস অবস্থান করে। এরপর এলাকাবাসী ও আত্মীয়রা তাদেরকে বগুড়া থেকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি লাভলী বেগম মিথ্যা অজুহাতে জরুরি খবর দিয়ে জাহাঙ্গীরকে গোপালপুর থেকে ভূঞাপুরে নেয়। ওই রাতে জাহাঙ্গীর বুঝতে পারেন তাকে স্ত্রী লাভলী বেগম লোকজন নিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। এসময় পালাতে না পেরে মায়ের সাথে ফোনালাপ করেন। পরিবারে অভিযোগ তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরের ভাই আবু সাঈদ, নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল হালিম খান, মো. আব্দুল কদ্দুস খান, মনিরুজ্জামানসহ এলাকাবাসী। লাভলী বেগম রাজাপুর গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে।

https://youtu.be/IND1isQ1h0w

প্রসঙ্গত: ১১ ফেব্রুয়ারি(মঙ্গলবার) ভূঞাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জাহাঙ্গীরের শশুরবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার উড়িয়াবাড়ি গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ভূঞাপুর উপজেলার অজুর্না ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে লাভলীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়