আজ- শনিবার | ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
৩০ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১২:৩০
১৫ নভেম্বর, ২০২৫
৩০ কার্তিক, ১৪৩২
১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ঘাটাইলের সেই প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার

প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন খালিদকে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৪ মে ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক রহমতউল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কারাদেশের পত্র থেকে জানা যায়, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন বাবদ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক হুমায়ুন খালিদ বলেন, প্রতিহিংসার কারণে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা এ কাজ করেছে। যে সভায় আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে সে সভায় মাত্র চারজন সদস্য উপস্থিত ছিল, যা সভার কোরাম পূরণ করে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসে স্কুলের সভাপতি ও অন্যান্য শিক্ষকরাও জড়িত ছিল।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস্কান্দার হক বলেন, আমার মুখ নাকি প্রধান শিক্ষক দেখবেন না। তাই তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না। তাছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তিনি বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের অর্থও আত্মসাৎ করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামসুল হক বলেন, বহিষ্কারাদেশের কপি এখনো আমি পাইনি। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ফোনে আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এ বছর এসএসসি পরীক্ষার গণিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সময় উপজেলার সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলামের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই শিক্ষক।
সে সময় তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগেই দপ্তরির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। প্রশ্নফাঁসে প্রতি পরীক্ষার্থী বাবদ ২৫ হাজার টাকার প্যাকেজ ছিল। এ কাজের সাথে শুধু তিনি একা নন, কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তারাও জড়িত। এ ঘটনায় কোচিং সেন্টারের মালিক, সাগরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়টির ঝাড়ুদারকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আল মামুন। শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গণিত পরীক্ষার দিনে উপজেলার সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার সাগরদিঘী গ্রামের সঞ্জিত সাহার ছেলে কোচিং মাষ্টার শ্যামল বাবু (৪৫), সাগরদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন খালিদ ভূইয়া ও বিদ্যালয়টির ঝাড়ুদার আব্দুর রহমান (৫৫)।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়