দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে চারটি মামলায় মোট ১৯ দিনের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) অনুমোদন দিয়েছে আদালত। সোমবার (১৭ মার্চ) টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালত একটি হত্যাসহ তিন মামলায় ১৩ দিন এবং মির্জাপুর আমলী আদালত একটি হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রাক্তন এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনকে সোমবার দুপুরে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) আবেদন করে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরও দুটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ সময় মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিন করেঅিধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খাঁন মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিন করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলায় চার দিনের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন পাঁচ দিনের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) আবেদন মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, সোমবার থেকেই ছানোয়ার হোসেনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।
প্রসঙ্গত, ছানোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভাটারা থানায় দায়ের একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর থেকে তিনি কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।