দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ ও ডাকাতের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত এবং ডাকাত দলের সর্দার ইন্দ্র মোহন রাজবংশী (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামের লক্ষণ রাজবংশীর ছেলে। সোমবার(১২ জুন) পূর্বরাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী মাঝিপাড়া নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, রোববার দিবাগত রাতে মির্জাপুর থানার এসআই মো. বাবুল আহমেদ, নুর মোহাম্মদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোনছের আলী, কনস্টেবল কামরুল ইসলাম, নীহার রঞ্জন সরকার, সোহরাব হোসেন মির্জাপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শেষে ভাড়ায় চালিত গাড়িযোগে মহাসড়ক দিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহাসড়কের ওই স্থানে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১৫-২০ জনের ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাদের গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতরা গাড়িতে পুলিশ রয়েছে টের পেয়ে গাড়ির ওপর হামলা চালায় এবং গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোনছের আলী ও কনস্টেবল সোহরাব হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এসময় ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও মহাসড়কের চারলেনে সম্প্র্রসারিত কাজে নিয়োজিত থাকা লোকজন এগিয়ে এলে তাদের উপস্থিতে খোঁজাখুঁজি করে ইন্দ্র মোহনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জামুর্কী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত দুই পুলিশ সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ধারালো স্টিলের চাপাতি, কয়েকটি লোহার রড, ২টি চাকু, ১টি লোহার চাপাতি উদ্ধার করে।
আহত ডাকাত সর্দার ইন্দ্র মোহন রাজবংশী পুলিশকে জানান, তার সঙ্গে সহযোগী সায়েম (৩০), আল রাজিম (২৮), নাঈম (২০), মোতালেব (৩০), এরশাদ (৩২), রতন (২৭), নাজমুল (৩২), সেলিম (৩৩), জাহিদ (২৫), সজিব (৩৩), জসিম (৩০), রিপন (৩২) ও আলতাফ (৪০) সহ আরও ৫/৬ জন ডাকাত সদস্য ছিল। তারা মহাসড়কের মির্জাপুরের বিভিন্ন স্থানে গাছ ও বস্তা ফেলে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে থাকে।
তাদের নামে মির্জাপুর থানায় একাধিক ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল জেল হাজতেও পাঠিয়েছেন। তিন্তু তারা জামিনে বের হয়ে আবার একই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে মানুষের ক্ষতি করছে বলে মির্জাপুর থানার এসআই নুর মোহাম্মদ জানান।