আজ- সোমবার | ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | রাত ১২:৫৫
১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাসাইলে কালভার্ট ধসে তিন উপজেলার ৩০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে বাসাইল উপজেলার একটি কালভার্ট ধসে পাশের তিন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে বাসাইল পৌরসভার দক্ষিণপাড়ার গ্যাড়ামাড়া বিল সংলগ্ন বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কে অবস্থিত কালভার্ট ধসে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, বাসাইল উপজেলায় গত দুইদিন ধরে বন্যার পানি পুনঃরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক ডুবে গেছে।

সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে গ্যাড়ামাড়া বিলে পানি বৃদ্ধির কারণে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কে ওই কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে কালভার্টটি হঠাৎ ধসে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, বাসাইল-নাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, বালিনা, ভোরপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কূর্নী,

ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কালভার্টটি ধসে যাওয়ায় উল্লেখিত এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) রোজদিদ আহমেদ জানান, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে চার মিটার কালভার্টটি নির্মাণ করেছিল।

আগেই ওই কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে কালভার্টটি ধসে যায়। শুকনো মৌসুমে পুনরায় কালভার্ট বা সেতু নির্মাণ করা হবে।

https://youtu.be/Rn6LV-vi6pc

বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, ইতোপূর্বেই কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

বাসাইল উপজেলায় নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করায় কালভার্টটি ধসে গেছে। স্থানটি পরিদর্শন শেষে ২০ মিটার সেতু নির্মানের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়