বাসাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামে এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৩ মার্চ) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রঞ্জু খন্দকার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে এবং তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তার ছেলে মাদকাসক্ত ফরিদ খানকে(২৩) টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসার প্রয়োজনে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেন। ওই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় ব্যক্তি মনির খানের বাড়িতে যান। এসময় মনিরের ছেলে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসে।
পরে ফরিদ, পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন মিলে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই সময় বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হয়। সেখানে তার সঙ্গে থাকা অপর লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় রঞ্জু খন্দকারকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হরয়। সেখানে তার অবস্থার অবনফতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার(২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জু খন্দকারের মৃত্যু হয়। পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার মরদেহ বাসাইল থানায় আনা হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক ব্যবসায়ী বলে স্থানীয়রা জানায়।
টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন জানান, মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান তাদের কাছে আবেদন করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফরিদকে নিরাময় কেন্দ্রে আনার জন্য চেষ্টা করলে তাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।