দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের শাহীন স্কুলের বাসাইল শাখার পরিচালক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার শ্লীলতহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠায় রোববার (৪ জুন) সকালে স্কুলের মেইন গেইট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে অভিভাবক ও এলাকাবাসি। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নির্যাতিত শিক্ষিকা জানান, গত ২৬ এপ্রিল রাতে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ পুলিশে তাকে তাড়া করেছে বলে কৌশলে শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে। এ সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে আব্দুর রশিদ তাকে শারিরিক নির্যাতন করে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিচার না করে উল্টো ওই শিক্ষিকাকে চাকুরি ছেড়ে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। কর্তৃপক্ষের চাপে গত ১ জুন দুই সন্তানের জননী বিধবা শিক্ষিকা জীবিকার একমাত্র অবলম্বন চাকুরি ছাড়তে বাধ্য হন। শ্লীলতাহানির বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক ও এলাকার লোকজন ফুঁসে ওঠে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়রা স্কুলের মেইন গেইট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা পরিচালক আব্দুর রশিদকে অপসারণের দাবি করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সাথে স্কুল পক্ষের লোকজনের হাতাহাতির ঘটলে পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিকট অস্বীকার করলেও টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের মুখপাত্র ইমারত হোসেন খান বলেন, আমরা ওই দু’জন শিক্ষককে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাসাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাফিসা আক্তার বলেন, ওই মহিলা আমার নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, আমি তাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।
বাসাইল থানার এস আই ওমর ফারুক বলেন, বিক্ষোভ-অবরোধ ও হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, এক বছর পূর্বেও এ স্কুলের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তা থানায় গড়িয়েছিল।
