দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষের প্রতিষেধক(ভ্যাকসিন) আনা হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সাপের কামড়ে প্রতিষেধকের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার শিমুর মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় শিমু তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, ’টাঙ্গাইলের কাথাও কি সাপে কাটার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়’। শেষ স্ট্যাটাস এবং মৃতু্্য নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের রোববার(২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাপে কাটার প্রতিষেধক(ভ্যাকসিন) আনা হয়েছে। বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেফালী খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাপের বিষের প্রতিষেধক(ভ্যাকসিন) আনা হয়েছে। এখন থেকে সাপে কাটা সকল রোগীই বিনামূল্যে প্রতিষেধক(ভ্যাকসিন) পাবে।
আয়েশা আক্তার শিমুর মৃত্যুর পর গত এক সপ্তাহে নিহত শিমুর এলাকা কাঞ্চনপুরে শিশুসহ ৬জন সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ায় তারা সবাই এখন সুস্থ্য।
আহতরা হচ্ছেন, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার বকুল মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার (৭), সোহেল মিয়ার স্ত্রী আসমা আক্তার, একই এলাকার রিমেল (১৩), রুবেল মিয়া (২৭), বাইতপাড়ার কমল চকিদারের স্ত্রী আশু রাণী ও সাদেকের স্ত্রী।
কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জানান, সাপের কামড়ে প্রতিষেধকের অভাবে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া কাটতে না কাটতেই আরো ৬জন সাপের কামড়ের শিকার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রকাশ, গত ২০ সেপ্টেম্বর সাপে কাটা প্রতিষেধকের(ভ্যাকসিন) অভাবে আয়েশা আক্তার শিমু মারা যান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিমু ৩৬তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সম্ভবনাময়ী শিমুর মৃত্যুতে এলাকাবাসী বাসাইল উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার প্রতিষেধক(ভ্যাকসিন) রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।