আজ- বৃহস্পতিবার | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
৯ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৮:১৭
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
৯ মাঘ, ১৪৩১
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

বাসাইল থানার ওসি’র বিরুদ্ধে দোকান বরাদ্ধের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

দৃষ্টি নিউজ:


টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দোকান বরাদ্দের নামে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে থানার সীমানা প্রাচীর ভেঙে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি বেদখল করে তিনি ২৬টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন। বাসাইল থানা পুলিশের বড় কর্তা হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
জানা যায়, সরকারি বিধি অনুযায়ী দুই লাখ টাকার উপরে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে দরপত্র আহ্বান করতে হয়। আর ১০ লাখ টাকার কাজ করতে হলে উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষের কোটেশনে করা যায়। কিন্তু বাসাইল থানার ওসি কোন নিয়ম-নীতিই অনুসরণ করেননি। অভিযোগ ওঠেছে, বাসাইলের চিহ্নিত কয়েকজন দালালের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান বরাদ্দ দেয়ার নামে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া টাকার সঠিক অংক উল্লেখ নেই। দোকান বরাদ্দ পাওয়া এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। চুক্তিপত্রে দুই লাখ টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি দেড় লাখ টাকা ওসি ও দালালরা ভাগবাটোয়ারা করে খেয়েছেন বলে শুনেছি।
দোকান বরাদ্দ নেওয়া ব্যবসায়ীরা জানান, পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে তিন লাখ, সাড়ে তিন লাখ নিয়ে দুই লাখ, দুই লাখ টাকা নিয়ে এক লাখ টাকা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করেছেন। বাকি টাকার কোন হিসাব নেই। এছাড়া, থানার পাশের ফুটপাতের দোকানগুলো থেকেও তিনি প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, থানার পাশে অবকাঠামো নির্মাণ করার বিষয়ে থানার ওসি উপজেলা পরিষদের সাথে কোন আলোচনা করেননি। এ বিষয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ টাকা দিয়ে থানার পুলিশ ভ্যান এবং ভাড়ার টাকা দিয়ে গাড়ি মেরামতের কাজ করা হবে বলে জানান।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর-ই-ইলাহী বলেন, এ সড়কটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এখনও যেহেতু সড়কটি আমাদের হয়নি, সে কারণে আমরা আপাতত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছি না।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম খান বলেন, অস্থায়ীভাবে কিছু দোকান ঘর করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জায়গাটা থানার সেহেতু এখানে থানার সুবিধার্থে যে কোন কাজ করতে পারে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হয়েছে সেই পরিমাণই উল্লেখ করে চুক্তিপত্র করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে ছলচাতুরির কোন সুযোগ নেই। ইট, বালু, খোয়াসহ প্রয়োজনীয় যা কিছু লেগেছে সবই নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে। যদি কেউ কোন অভিযোগ করে থাকে তাহলে আপনারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখুন সবই বুঝতে পারবেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়