আজ- সোমবার | ১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৪:৫৯
১৭ মার্চ, ২০২৫
৩ চৈত্র, ১৪৩১
১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

বাসাইল পৌরসভায় তিন মেয়র প্রার্থীই ব্যবসায়ী ॥ শিক্ষায় এগিয়ে আ’লীগ প্রার্থী

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিনজন প্রার্থীর কেউই রাজনীতিক নন- ব্যবসায়ী। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানাগেছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অর্থ-সম্পদে অন্য দুই প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর আবদুর রহিম আহমেদ এগিয়ে রয়েছেন।


আগামি ২১ জুন অনুষ্ঠেয় বাসাইল উপজেলায় মেয়র পদে নির্বাচন করছেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রাহাত হাসান টিপু এবং উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃৃত সভাপতি এনামুল করিম অটল। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


হলফনামায় পাওয়া তথ্যে জানা যায়, আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুর রহিম আহমেদ স্নাতকোত্তর পাস বলে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন খাতে তার বছরে আয় ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি-ফ্ল্যাট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় হয় ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে আয় ৮৬ হাজার টাকা এবং মেয়র হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা রয়েছে- ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ টাকা।


এছাড়া ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ এবং একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। তার ৭৬৮ শতাংশ কৃষিজমি এবং ১০ শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে। এসব জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। ব্যাংকে তার কোনো ঋণ নেই। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই।


কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রাহাত হাসান টিপু ১৫ ভরি স্বর্ণ উপহার হিসেবে পেয়েছেন। তার নগদ দুই লাখ টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ২ হাজার টাকা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। তিন প্রার্থীর মধ্যে তিনি পড়ালেখায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন।


হলফনামায় রাহাত হাসান টিপু উল্লেখ করেছেন, ব্যবসা থেকে বছরে তার ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় আসে। তার নিজ নামে সাড়ে চার শতাংশ অকৃষিজমি রয়েছে। তার তিন লাখ টাকার বেশি ঋণ আছে। বর্তমানে তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে একটি হত্যা মামলা ছিল। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ওই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।


স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা এনামুল করিম আটলের আয় বাকি দুজনের চেয়ে কম। বছরে তার ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আয় হয়। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় হয় এবং কৃষি খাত থেকে আসে ৪০ হাজার টাকা। স্নাতক পাস এনামুল করিম অটলের ২ লাখ টাকা নগদ রয়েছে।

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো টাকা জমা নেই। তার ১০ ভরি স্বর্ণ আছে- যা তিনি উপহার হিসেবে পেয়েছেন। এছাড়া পৈত্রিক সূত্রে তিন একর অকৃষিজমি এবং এক একর জমিতে বাড়ি রয়েছে। তার নামে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। অতীতেও কোনো মামলা ছিল না।


জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান জানান, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হলফনামা প্রচারপত্র আকারে প্রচার করা হচ্ছে না। তবে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়