দৃষ্টি নিউজ:

‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান’ এই স্লোগানে সারাদেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৩তম বেতন গ্রেড ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবিতে মঙ্গলবার(১ ডিসেম্বর) পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে দেশের সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কর্মবিরতি পালন করে। তাদের এই কর্ম বিরতির ফলে সারাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০ হাজার কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এই কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন।
তাদের দাবি- নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬ থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম খোকন জানান, এই স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ টি পুরষ্কারে ভুষিত হয়েছেন। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি করেন। চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সচিব দাবি মেনে নিয়ে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। তারা এসব প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন চায়। দাবি পূরনে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
