আজ- শনিবার | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
১১ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৪:৩৯
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
১১ মাঘ, ১৪৩১
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

ব্যতিক্রমী এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাইমহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

দৃষ্টি নিউজ:

dristy.tv pi-48
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সদরের বাইমহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত ১৭ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে পাদুকাসহ শ্রেণি কক্ষে প্রবেশে নিষেধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়। বিদ্যালয়ে কর্মরত সকল শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য, অভিভাবক ও পরিদর্শনে আসা অতিথিদের জন্যও এই নিয়মটি প্রযোজ্য বলে বিদ্যালয় সূত্র জানায়।
২০০০ সাল থেকে পাদুকা ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করেন। বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সব মৌসূমে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনের সিঁড়িতে সাঁড়িবদ্ধ ভাবে পাদুকা রেখে ক্লাসে প্রবেশ করে। কেউ কারো পাদুকা নেয়া তো দুরের কথা সরিয়েও রাখে না। অবশ্য তীব্র ঠাণ্ডার সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে মোজা ব্যবহার করে থাকে। ব্যতিক্রমী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ফলাফলেও অনেক ভাল। গত বছর শতভাগ পাসসহ ৩৩ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর আগে ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শতভাগ শিক্ষার্থী প্রথম স্থান লাভ করে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৯৮ থেকে শতভাগ বৃত্তি এবং শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফলের দিক থেকে বিদ্যালয়টি এ উপজেলায় তো বটেই টাঙ্গাইল জেলাতেও কয়েকবার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম জানান।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হিমেল, ফাহিমা, ইস্তি, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহাদ, মিম, রাফি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা, রিহা ও ফিজত বলে, পাদুকা রেখে ক্লাসে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। কারণ ক্লাসে পাদুকার শব্দ হয় না। ধূলাবালি কম হয়। পরিবেশ ভালো থাকে। এতে সকলেই সুস্থ থাকতে পারি।
অভিভাবক আবু রায়হান সিদ্দিকী, মো. জসিম শিকদার বলেন, ধূলাবালিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। পাদুকা ছাড়া ক্লাসে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো থাকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সুস্থ মনোভাব নিয়ে ক্লাস করতে পারছে বলে তারা মনে করেন।
শ্রেণি কক্ষে পাদুকা নিষিদ্ধ কেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের পরিবেশ নির্মল রাখার জন্যই গত ২০০০ সাল থেকে শ্রেণি কক্ষে এ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ ধূলাবালি মুক্তই থাকছে না, সেই সঙ্গে অনেক রোগ বালাই মুক্তও থাকছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মাস্টারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গত বছর বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও এটি জাতীয় মডেল হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়