আজ- শুক্রবার | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
১০ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ১২:৪১
২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
১০ মাঘ, ১৪৩১
২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০ মাঘ, ১৪৩১

ব্লু হোয়েল গেমস্-এ আক্রান্ত তরুণ অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন

দৃষ্টি নিউজ:


নিশ্চিত মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে বিশ্বে আতঙ্কিত ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন হৃদয়(২০) নামে এক তরুণ। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় বয়ড়াপাড়া আলমনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমজাদ আলীর ছেলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। হৃদয়কে দেখতে তার বাড়িতে কৌতুহলী জনতার ঢল নামে।
সরেজমিনে জানা যায়, হৃদয় গাজীপুরের একটি পেপার মিলে চাকুরি করেন। ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলতে আসক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ১১ অক্টোবর তার ফেসবুক পেইজে হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে তিমি আঁকা একটি ছবি পোষ্ট করেন। ছবিটি ফেসবুকের মাধ্যমে হৃদয়ের মামা সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের নজরে আসে। কবির বিষয়টি সৌদি থেকে তার স্বজনদের জানালে পুরো গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত বুধবার(১১ অক্টোবর) রাতে তার পরিবারের লোকজন হৃদয়কে গাজীপুর থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
হৃদয় বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে নেট অন করার সাথে সাথে মোবাইল স্ক্রিনে একটা অ্যাপ ভাসতে থাকে। ব্লু হোয়েল সম্পর্কে আমি শুনেছি, তারপরও কৌতুহল বসত আ্যাপটি ওপেন করি। এরপর একটা কল আসে আমি রিসিভ করলে একজন অ্যাডমিনের নির্দেশে শুরু হয় গেমস খেলা। আস্তে আস্তে বেশ কিছু মজার মজার ধাপ খেলতে খেলতে আসে চ্যালেঞ্জিং পর্ব।
২০ দিন যাবৎ গেমটির কত পর্ব খেলেছেন বা কি কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন জবাব দিতে পারেন নি হৃদয়। তিনি বলেন, আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে গেমটি খেলতে খেলতে আমার হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। আমার হাত কেটে কিভাবে ছবি একেছি আমি জানি না। রাতে কি করছি আমার কিছুই মনে পড়ছিল না।
হৃদয়ের নানা আব্দুল হামিদ বলেন, হৃদয়কে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তার মোবাইলসহ সীমকার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এইসব জীবনঘাতী গেম যেন ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
হৃদয়ের মা হাজেরা বেগম ছেলের প্রাণ হারানোর ভয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারও দাবি এমন মরণ খেলা যেন সন্তানে কাছে না আসে। হৃদয়কে পারিবারিক কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়