দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়া আলিম মাদ্রাসায় তুচ্ছ ঘটনায় জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের হাতে একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি প্রভাষক নাছির উদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, মাদ্রাসা চলাকালীন অবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের জামায়াতপন্থী শিক্ষক এবতেদায়ী প্রধান মো. রেজাউল করিম তর্কে জড়ান। এসময় প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নাছির উদ্দিন এতে বাঁধা দিতে গেলে রেজাউল করিম ও তার সঙ্গী শিক্ষক শাহাদত হোসেন, জহুরুল ইসলাম ও মজিদ ক্বারী অধ্যক্ষের সামনে প্রভাষক নাছির উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় প্রভাষক নাছির উদ্দিনের গলা পা দিয়ে চেপে ধরেন এবং এলোপাতাড়ি লাথি-কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। মুমুর্ষূ নাছির উদ্দিনকে মাদ্রাসার দপ্তরী হাতেম আলী, কম্পিউটার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও ছাত্র-ছাত্রীরা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬েক্স ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, যারা প্রভাষক নাছির উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করেছেন তাদের মধ্যে রেজাউল করিম, আব্দুল মজিদ ও জহুরুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। এরমধ্যে রেজাউল ও মজিদ ক্বারী বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে গাড়ি পুড়িয়েছেন। গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা চলছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুছ ছাত্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা অবগত। যে চারজন এ ঘটনার সাথে জড়িতদের পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে নাছির উদ্দিনের মা সেলিনা বেগম জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ায় বিভিন্নভাবে তাদের লোকজন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে মামলা করলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে। আমার ছেলেকে মারধরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপত্তা চাই।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম কাওছার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘটনা তাই বিষয়টি ইউএনও দেখবেন। না হলে শেষ পর্যন্ত আমরা দেখব।