দৃষ্টি নিউজ:
তারাকান্দি-জোকারচর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীর আওনা ইউনিয়নের স্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ভেঙে গেছে। বুধবার(১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড় টার দিকে আওনা ইউনিয়নের স্থল এলাকায় বাঁধের ২০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এতে বাঁধের পূর্ব পাশে ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝুকিতে রয়েছে আরো অন্তত শতাধিক গ্রাম।
জানাগেছে, তিন দিন ধরে বালির বস্তা ও জিআই ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা করছিল জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা করা যায়নি। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দুই জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ঘাটাইল সেনানিবাসও।
এদিকে, গত রাতে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যমুনার পানি ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে ২০-২২টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। রাতে গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর প্রচার করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর ও সখীপুর উপজেলার কিয়দংশের দিকে ধেয়ে আসছে পানি। এসব এলাকা যে কোন সময় বন্যা কবলিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ জানান, জোকারচর-তারাকান্দি বাঁধে ভূঞাপুর অংশের ১০ জায়গায় লিকেজ দেখা দেওয়ায় সংস্কার করা হচ্ছে। অর্জুণা ও পিংনায় লিকেজ বেশি দেখা যাওয়ায় সেখানে পাউবো’র লোকজন সারাক্ষণ কাজ করছে। সরিষাবাড়ীর কাউয়ামারায় বাঁধ ভেঙে পানি বাঁধের পূর্ব পাশে ঢুকছে। সেখানেও পাউবো এবং সেনাবাহিনী কাজ করছে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল সেনানিবাসের মেজর মশিউর রহমান বলেন, সড়ক বাঁধ রক্ষায় সেনাসদস্যরা বালির বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে চলেছে।