দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামীণ মাতাব্বরা। প্রতিবেশী চাচা আল আমীন (৩৪) নামের যুবককে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে সামান্য জুতাপেটা, জুতার মালা গলায় জড়ানো, শিশুটির বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় না থাকা- এসব অদ্ভুত নির্দেশনা দিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির মীমাংসা দিয়েছেন অরণখোলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় মাতাব্বর। জানাগেছে, মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সময় অরণখোলা ইউনিয়নের অরণখোলা কালাবাজারে সৃষ্ট ওই ঘটনায় ওইদিন রাতেই বসে সালিশি বৈঠক। আল আমীন ওই গ্রামেরই জহুর আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল চাচা আল আমীন। এতে শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আল আমীনকে হাতেনাতে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। সন্দেহ করা হয় আল আমীন শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিমকে জানানো হলে তিনি এটি স্থানীয় বিচারের আওতায় নয় জানিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ. করিমের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে এক সালিশি বৈঠকে আল আমীনকে ‘জুতাপেটা ও জুতার মালা গলায় পরিয়ে ঘোরানো এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে’ সিদ্ধান্ত দিয়ে মীমাংসা দেয়া হয়। এ সামাজিক বিচারেই শিশুটির অভিভাবকদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ভয়ে মুখ খুলছেন না।
ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহিম জানান, বিচারের আশায় মেয়ে পক্ষের লোকজন এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের আইনি সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।