দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সংরক্ষিত বনভূমির ১০ হাজার বনজ বৃক্ষের চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২৩ জুলাই) মধুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বন বিভাগ।
জানা যায়, মধুপুর বনাঞ্চলের সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলমুক্ত করে সেখানে উডলট মডেলে নতুন বনায়ন করার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।
এ কর্মসূচির আওতায় গত ২০ জুলাই দোখলা রেঞ্জের সদর বিটের অরনখোলা মৌজার ৪৯৭ দাগের ১০ একর বনভূমি থেকে প্রভাবশালী মহলকে উচ্ছেদ করা হয়।
পরদিন ২১ জুলাই উদ্ধার করা ভূমিতে বন বিভাগের উডলট মডেলে পুনঃবনায়নের কাজ শুরু করা হয়। এ জন্য ১০ হাজার আকাশমণি প্রজাতির বনজ বৃক্ষের চারা সেখানে মওজুদ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২২ জুলাই(মঙ্গলবার) অরনখোলা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে শামসুল হক ফরিদের নেতৃত্বে ১৫-২০জন দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থলে হামলা চালায়।
সেখানে কোন বনায়ন করা যাবেনা বলে বন কর্মীদের হুমকি দেয়। দুর্বৃত্তরা বন কর্মীদের মারধর করে এবং ১০ হাজার চারা বৃক্ষ কেটে বিনষ্ট করে।
দোখলা রেঞ্জ অফিসার অব্দুল আহাদ জানান, ওই ১০ একর বনভূমি শামসুল হক গংরা কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক পরিচয়ে জবরদখলে নিয়ে কলা বাগান করে।
চারদিন আগে মধুপুর বনাঞ্চলের সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে ওই কলা বাগান উচ্ছেদ করা হয়। এরপর নিজস্ব নার্সারীর চারা নিয়ে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
কিন্তু পরদিনই ওই প্রভাবশালীরা সেখানে হামলা চালিয়ে রোপিত চারা এবং জমিতে স্তূপাকারে রাখা ১০ হাজার চারা কেটে বিনষ্ট করে।
সরকারি বনভূমি জবরদখল, বনজ সম্পদ ধ্বংস, বন কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন রেঞ্জার আব্দুল আহাদ।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারিক কামাল জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মধুপুরে জবরদখলকারিরা খুবই প্রভাবশালী।
বনভূমি পুনরুদ্ধার করে তাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উডলট মডেলের বনায়ন করা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
