আজ- বৃহস্পতিবার | ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২ | বিকাল ৫:১৮
১৩ নভেম্বর, ২০২৫
২৮ কার্তিক, ১৪৩২
১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

মধুপুরে বন্যায় বিএডিসি’র বীজতলা প্লাবিত

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় বিএডিসি’র ২৫০ একর জমির মৌসুমী আউশ ও আমন ধান এবং ২২ একর জমির বীজতলা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া বীজতলার পানি সেচের মাধ্যমে রক্ষা করার চেষ্টা করছে খামার কর্তৃপক্ষ।

মধুপুর বীজ উৎপাদন খামার সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের কাকরাইদ এলাকায় অবস্থিত মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারের ৩৪৫ একর আবাদী জমির মধ্যে ২৫০ একর জমি চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে প্লাবিত হয়েছে।

গত ৮ জুলাই থেকে টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারণে খামারের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত গুজা খাল ও বংশাই নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে খামারের আবাদী জমি প্লাবিত হয়ে পড়ে।

ফলে খামারের চলতি ২০২০-২০২১ সালের আউশ মৌসুমে ৪৫ একর জমির মধ্যে ব্রি-ধান ৪৮ জাতের ৫ একর জমির বীজতলা পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত পানি না কমলে চারার বয়স বৃদ্ধি পেয়ে রোপন অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, চলতি মৌসুমের(২০২০-২০২১) বীজতলা পুরোপুরি ক্ষতিগস্ত না হলেও আমন মৌসুমের রোপনকৃত ব্রি-ধান ৮৭ জাতের ১০ একর এবং বিনা ধান ১৭ জাতের ১২ একরসহ মোট ২২ একর জমি বন্যায় প্লাবিত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

চলতি আমন মৌসুমের ২৪২ একর জমিতে প্রায় ৩৮৫ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মাত্র ৬০ একর জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক(খামার) সঞ্জয় রায় জানান, গত ৮ জুলাই থেকে টানা ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে স্থানীয় গুজা খাল ও বংশাই নদীর পানি বেড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এতে খামারের ৩৪৫ একর আবাদী জমির মধ্যে ২৫০ একর প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আবাদী জমির ধান ও বীজতলা রক্ষায় খামার কর্তৃপক্ষ নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আগামি ১০-১৫ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে বীজতলায় চারা রোপন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করা হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়