দৃষ্টি নিউজ:
আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর(সোমবার) থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজা। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে প্রতিমা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন অনেকেই প্রতিমার শরীরে শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত। কেউ কেউ রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে সাজানোর কাজ শুরু করেছেন। তাদের এখন দম ফেলার সময় নেই। জেলায় এবার ছোট-বড় মিলিয়ে সহস্রাধিক মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ এলাকায় প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। শেষ মুহুর্তের কাজ করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। এখন দেবী দুর্গাকে রং তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন। অনেকেই রং দিচ্ছেন। প্রতিমা তৈরির কাজ দেখতে ভীর করছেন দর্শনার্থীরা।
টাঙ্গাইল বড় কালিবাড়ীর পুজা মন্ডপের কারিগর ছানা চন্দ্র পাল জানান, পূর্ব পুরুষ থেকেই তারা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। এবার দুর্গাপুজায় তিনি বড় কালিবাড়ী ছাড়াও আরো ৩টি মন্ডপের প্রতিমা তৈরি করেছেন। পুজা আসলেই তাদের ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এখন চলছে শেষ মূহুর্তের কাজ। এখন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রতিমা তৈরির উপার্জনের উপরই তার সংসার খরচ নির্ভর করে।
টাঙ্গাইল জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুকুল চন্দ্র সাহা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া স্থানীয় লোজজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।
টাঙ্গাইল জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা জানান, জেলায় এবার ছোট-বড় মিলিয়ে এক হাজারের অধিক মন্ডপে পুর্জা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মন্ডপের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তারা প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। আশা করছেন এবারেও পাবেন। তিনি আরো বলেন, করটিয়ার একটি মন্ডপকে তারা ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। তবে আশা করা যায়, অন্য বছরের মতো এবারও পুজা সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।