আজ- শুক্রবার | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১ | দুপুর ১:৫২
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

মহাসড়কে কলা ব্যবসায়ী বাবু হত্যার ঘটনায় দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

দৃষ্টি নিউজ:

বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে বস্তা ফেলে ডাকাতিকালে কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবু (৪৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১৭ ডিসেম্বর) রাতে ও বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার বিকালে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন(২৬) এবং একই গ্রামের মঞ্জু সওদাগরের ছেলে সোহাগ সওদাগর (২৬)। নিহত কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবু (৪৫) জয়পুরহাট জেলা সদরের নাজিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) কলা ব্যবসায়ী তোফাম্মেল হক বাবু নওগা থেকে পিকআপভ্যান যোগে কলা নিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাইপাস এলাকার পুষ্টকামুরী ব্রিজের কাছে পৌঁছলে পিকআপভ্যানের চালক জুয়েল মহাসড়কের ওপর একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন।

 

 

 

 

 

 

 

এ সময় চালক গাড়ি থামিয়ে মহাসড়ক থেকে বস্তা সড়াতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র ডাকাত দল গাড়িতে বসে থাকা কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবুর ওপর হামলা চালায়। ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করার চেষ্টা চালায়। তিনি বাধা দিলে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তোজাম্মেল হক বাবু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

পিকআপভ্যানে থাকা নিহত বাবুর চাচাতো ভাই মো. নাহিদ হোসেন ঘটনার পরদিন ১৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাত নামা ২-৩ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার একদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে টাঙ্গাইলের আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিল্লালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি একই এলাকার সোহাগ সওদাগরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সোহাগকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

 

 

 

 

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনা ঘটার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়