দৃষ্টি নিউজ:
রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও অপর আসামি শরিফ শাহেদুলের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন। এ খবর ওই দুই আসামিকে জানানো হয়েছে। সোমবার(১০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ দুই আসামিকে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার জানান। দুপুরে কারাগারে আবেদন নাকচের কপি পৌঁছায়। এর পরপরই হান্নান ও শাহেদুলকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সুপার জানান, কারা বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষের আদেশে মুফতি হান্নানসহ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফাঁসি কার্যকরের সব ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। কারা সূত্র জানায়, কারাবিধি অনুযায়ী যেদিন মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়, সেদিন থেকে ২১ দিনের আগে নয়, ২৮ দিনের পরে নয়, এমন হিসাব করে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালিন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.)মাজারের ফটকে গ্রেনেড হামলায় তিনজন নিহত এবং হাইকমিশনারসহ ৭০ জন আহত হন।
ওই ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন আপিল বিভাগে নাকচ হয়ে যায়। এরপর গত ২১ মার্চ মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।
এরপর তিন আসামি শেষ সুযোগ হিসেবে গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। গত শনিবার(৮ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রপতি এ আবেদন নাকচ করেন। রোববার(৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নাকচ করার খবর সাংবাদিকদের জানান। পরে সোমবার(১০ এপ্রিল) দুপুরে তার কপি কারাগারে পৌঁছায়।