আজ- রবিবার | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৬ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৩:৪১
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৬ মাঘ, ১৪৩১
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৬ মাঘ, ১৪৩১

যমুনায় জেগে ওঠেছে অসংখ্য ডুবোচর!

রোকনুজ্জামান রুকু, সিরাজগঞ্জ:

যমুনা নদীতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী অংশে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠেছে। ফলে নদী ক্ষীণ হয়ে এসেছে এবং নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় পণ্যবাহী নৌকা বা জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

 

শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নদীর প্রস্থ এখন দুই কিলোমিটার। যা বর্ষায় থাকে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার। যমুনার বুক জুড়ে কৃষকরা এখন সরিষা, বোরো, ভুট্টা, খেসারী কালাই ও চিনাবাদাম সহ বিভিন্ন ফসল চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সাথে যমুনা নদীতে নেমে আসে বালু। ফলে নদীর মাঝে তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ কারণে বর্ষায় যমুনার পানি ফুলে ফেপে উঠে পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দেয়। অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌ-পরিবহনে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। প্রতি বছর যমুনার তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে হারাতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য।

 

 

 

 

 

 

একসময় দূর-দূরান্ত থেকে নৌ-পথে সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে ব্যবসায়ীরা আসতেন বাণিজ্য করার জন্য। সেই দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না। সেই সাথে তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সহজেই দু’কূল ছেপে বন্যা আসে। ভাঙে আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি। নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার।

 

 

 

তাছাড়া পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীতে মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করতো, তারা আজ অসহায়। নদীতে নেই আর আগের মত মাছ। জেলেরা পেশা বদল করে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়।

 

 

 

যমুনা নদীতে এখন পানি কমে যাওয়ায় নতুন নতুন চর ওঠার কারণে চৌহালী থেকে এনায়েতপুর নৌকা ঘাট হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতে শ্যালো নৌকায় ১ ঘণ্টার বদলে এখন প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় বেশি লাগে।

 

 

 

জাহাজ চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও শ্যালো নৌকা চলছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে। নৌপথ বন্ধের কারণে এক চর থেকে আরেক চর এখন নৌকার বদলে পায়ে হেঁটে পাড় হওয়া যায় বলে খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার কাজী রুহুল আমিন জানান।

 

 

 

 

 

 

চৌহালী উপজেলার চৌহালী নৌকা ঘাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম জানান, যেভাবে নদীর পানি কমছে তাতে নৌকা চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এখন ড্রেজিং করে নৌ পথ তৈরি করা না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে জেলা সদরের সাথে নৌ পথের চৌহালীর যাবতীয় কর্মকা- স্থরিব হয়ে পড়বে। দ্রুত ড্রেজিং করে নৌ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি।

 

 

 

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা গেছে , নদীতে নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় বর্ষার শুরুতেই পানি ফুলে ফেপে উঠে দু-পাড়ে নদী ভাঙন দেখা দেয়। আর শুস্ক মৌসুমে নৌপথের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান গুলোকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। নৌকার মাঝিদের সাথে কথা হয়েছে এই যমুনা নদীতে ড্রেজিং করে নদী ভাঙনরোধ ও নাব্যতা সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়