দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামকে বরখাস্ত করেছে শিক্ষা বোর্ড। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি, অনৈতিক কর্মকান্ড ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের(মাউশি) সচিব প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী সাক্ষরিত চিঠিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাজী জহুরুলের বিরুদ্ধে আনীত ‘সহকারী শিক্ষককে (ইংরেজি) অনৈতিক প্রস্তাব, অনৈতিক কর্মকান্ড ও যৌন হয়রানির’ অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়।
এমতাবস্থায়, বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ১০ ডিসেম্বরের সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ পূর্বক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকুরি হতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় এবং ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৩৩তম বোর্ড সভায় বর্ণিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (বরখাস্তকৃত) কাজী জহুরুলের চূড়ান্ত বরখাস্তকরণের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ও চরিত্রহীন মানুষ ছিলেন। বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকদের প্রতি কু-নজর দিতেন। বার বার তাকে সংশোধনের জন্য বলা হলেও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকান্ড করতেন। পরে বাধ্য হয়ে একজন নারী শিক্ষক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিল।
ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুলকে বরখাস্ত করার শিক্ষা বোর্ডের চিঠি পেয়েছি। এরফলে তিনি ওই বিদ্যালয়ে আর প্রধান শিক্ষক হিসেবে নেই এবং প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবেন।
প্রকাশ, এরআগে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী সহকারী শিক্ষক(ইংরেজি) কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অনৈতিক কর্মকান্ড ও কু-প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগ করেন। এ কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে মতামত মাউশি কর্তৃপক্ষকে পাঠায়।