আজ- মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১১:১৫
১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২
১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

রিকশাওয়ালাকে পেটানোর অভিযোগে পুলিশের গাড়ি চালক প্রত্যাহার

গাড়ি চালক আবুল খায়ের

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে পৌর শহরে এক রিকশাওয়ালাকে পেটানোর অভিযোগে পুলিশের গাড়ি চালক আবুল খায়েরকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ জেলা পুলিশের উর্ধতন ব্যক্তিরা সোমবার(১৩ মে) রাতেই এ সিদ্ধান্ত নেন। রিকশাওয়ালা মো. সেলিম মিয়া(৩০) সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মোখছেদ আলীর ছেলে। তিনি বিদেশে চাকুরি করেও কোন সুবিধা করতে না পারায় দেশে ফিরে পুনরায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (১৩ মে) সকালে শহরের স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে রিকশাটি মেইন রোডে প্রবেশ করার সময় টাঙ্গাইল মডেল থানা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রারত পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে রিকশাটি লেগে যায়। এমন সময় ওই পিকআপের চালক আবুল খায়ের গাড়ি থেকে নেমে এসে রিকশাওয়ালাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করেন। রিকশাওয়ালা জনসমক্ষে চিৎকার করে কাঁদতে থাকলেও পুলিশের ওই গাড়ি চালক তাকে কোন সহানুভুতি না দেখিয়ে চলে যান। পুলিশের গাড়ি চালককের ওই মারধরের ঘটনাটি অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
রিকশাওয়ালা মো. সেলিম মিয়া জানান, ইঞ্জিনচালিত রিকশা আর গতি একটু বেশি থাকায় মোড় ঘোরানোর সময় গাড়িতে একটু লেগে যায়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া জানান, চালক আবুল খায়ের যে কাজটি করেছে তা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার মত অপরাধ আর অতিদুঃখজনক। এ কারণে পুলিশের গাড়িচালক আবুল খায়েরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসময় তিনি আরো জানান, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় তা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে নেয়া হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাসুদ মুনীরকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চালকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়