আজ- বুধবার | ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | দুপুর ১:২৬
৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য জেলহাজতে

মির্জাপুর প্রতিনিধি:

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান (৪৫) ওরফে সোহেল রানা চাঁদার টাকা নিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মো. আমিনুর সিকদার নামে এক ব্যক্তি তিাস সহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন। হানিফ খান টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামের বক্তার খানের ছেলে। সোমবার(১৭ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

এর আগে রোববার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খানকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামি হলেন, উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান রোববার বিকালে একটি গুম ও হত্যা মামলার তদন্তের নাম করে উপজেলার তরফপুর চকবাজার এলাকায় যান। একপর্যায়ে তিনি কৌশলে মামলার আসামির কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ২ লাখ টাকায় হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে তার আরও অপকর্ম প্রকাশ পেতে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি ইতোপূর্বে নিজেকে র‌্যাব সদস্য, পিবিআই, সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করেছে। পুলিশের চাকরি দেওয়া, মামলার তদন্ত রিপোর্ট পক্ষে-বিপক্ষে দেওয়া, পাওনা টাকা তুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে তরফপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে প্রতারক অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মোবাইলফোনে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে টাকা দাবি করেন। রোববার টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে এলাকায় আনা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলার অন্য আসামি বিল্লাল হোসেন বলেন, ৫-৬ বছর আগে পরকীয়া করে টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামের ইনছ আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম গর্ভবতী হন। তারপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রওশন আরা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে এ বিষয়টি তখন আলোচনায় ছিল। এছাড়া উত্তরকদমা তেতুলা বিলে দুলালের স্ত্রীর বস্তাবন্দি কঙ্কাল পাওয়া যায়। ঘটনা দুটি অমীমাংসিত থাকায় হানিফ খান র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়ায় তাকে ঘটনা দুটি তদন্তের জন্য ইনফরমেশন দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দেওয়া হানিফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়