আজ- শুক্রবার | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ভোর ৫:৪২
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি :: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

দৃষ্টি নিউজ:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। কোভিডের সময় আমাদের অনেক স্কুল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি কিছু কিছু অন্য ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ছিল। শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার এটা একটা কারণ।

 

 

 

 

 

আমরা ঝড়ে পড়ার আরেকটি কারণ দেখেছি- তাহলো অনেকগুলো জায়গা আছে যেখানে মা-বাবারা চাকরি করে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার যে সময়টা প্রাইমারি স্কুলের সাথে তাদের সময় মিলে না। ফলে তারা অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের দিয়ে দেন- যেখানে বাচ্চাদের রাখার সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের কোন কোন স্কুলগুলো ভালো চলে না। এমন একটা অভিযোগ আছে এটাও একটা কারণ হয়তো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরেকটি বিষয় হচ্ছে- অনেক প্রাইভেট স্কুল আছে যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেন। আমরা তো এখনও প্রকৌশলগত উন্নতি করি নাই। ফলে এসব অনেকগুলো কারণ আছে- যেগুলো মিলে আল্টিমেটলি শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে বিরূপ ফলাফল আনে। শিশু শিক্ষায় যেসব বাচ্চারা ঝড়ে পড়ছে বিষয়টি আমরা জানি। কিভাবে তা রোধ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ১১ টায় টাঙ্গাইল শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উপদেষ্টা আর বলেন, এখনও আমাদের নদী ভাঙন কবলিত শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা কোন প্রকল্প নাই। নদী ভাঙনে যেসব অঞ্চলগুলো পড়েছে- সেসব এলাকার শিশুদের পরিসংখ্যান করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিবো। নদী ভাঙন কবলিত এলাকার শিশুরা যাতে ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষে কাজ করা হবে। যারা স্থানীয় মানুষজন আছেন তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির বিকল্প সমাধানও বের করা হবে। সেজন্য প্রস্তাব দিতে এবং সে অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নিতে পারি তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

এরআগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে ক্লাস টেস্ট নেন।

 

 

 

 

 

এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিমা জাহানসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়